Posts

ডিপ্রেশন নিয়ে কথা বলি

Image
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর মতে স্বাস্থ্য হল ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক এই তিন অবস্থার একটি সুস্থ সমন্বয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, একজন মানুষের স্বাস্থ্য হল রোগবালাই মুক্ত সুস্থ শরীর ও সেই সঙ্গে ভয়, হতাশা, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ থেকে মুক্ত মন এবং সমাজের নানাবিধ চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে সক্ষম মন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যের অন্যতম উপাদান হল মনের সুস্থতা বা মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের চিন্তা, আবেগ ও আচরণ এই তিন মিলেই হল মানসিক স্বাস্থ্য। আমরা শারীরিক রোগ নিয়ে যেমন খুব উৎকণ্ঠিত হয়ে যাই, ঠিক বিপরীত কাজ করি মানসিক রোগের বেলায়। এখন পৃথিবীর প্রতি চার জনের মধ্যে একজন জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে মানসিক রোগে ভুগে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বড় সংকট সৃষ্টি করবে এ মানসিক ব্যাধিটি তথা ডিপ্রেশন। তারা এক জরিপে উল্লেখ করেছেন, নিম্ন-আয়ের বা মধ্যম আয়ের দেশে বসবাসকারী ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিষণ্ণতার চিকিৎসা নিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। Institute for Health Metrics and Evaluation (IHME) এর Global Burden of Disease Study 2016 থেকে পাওয়া তথ্য...

সাপে কাটা: বিষাক্ত সাপের কামড় থেকে বাঁচতে করণীয়, সাপে কাটলে কি করবেন

Image
সাপকে ভয় পান না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, আর সাপে কাটলে তো কথাই নেই। তবে বিশ্বে যত সাপ আছে তাদের বেশিরভাগই বিষহীন, বিষযুক্ত সাপের সংখ্যা কম। সারা বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজারের মধ্যে। আর বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর সাপে কাটার শিকার হয় আনুমানিক ৪৫ লাখ মানুষ। সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলেও আমাদের দেশে সাপে কাটার হার কম নয়, সাধারণত গ্রামে বেশি সাপে কাটে। সাপে কাটাকে এখন বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে - যে সমস্যা বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাপে কাটা একটি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ও একটি জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা। সাপে কাটা ব্যক্তি এ রকম পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত থাকেন না। বিষধর সাপের আঘাতে মৃত্যুও হতে পারে। সাপে কাটা ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারনা প্রচলিত রয়েছে। সাপ ও সাপে কাটা নিয়ে প্রচলিত ধারণা: সাপ হিংস্র প্রাণী, সাপ তেড়ে এসে ছোবল দেয় সাপে কাটার পর আক্রান্ত অঙ্গে গিট দিতে হবে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ প্রয়োজন বাংলাদেশের...

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

Image
আজ ৭ই এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। আজকের দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়। ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা ও উন্নতির প্রচারে প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রদায়গুলির সচেতনতা বাড়াতে দেড় মিলিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং সমস্যার সমাধানে বিশ্বব্যাপী চেষ্টা করে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে দিনটি পালন করা হয়। এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো "আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার" । দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপত...

হাইপারলিপিডেমিয়া

Image
ফ্যাট হল চর্বি বা চর্বিজাতীয় পদার্থ। এই ফ্যাটকে মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় লিপিড/কোলেস্টেরল। আমাদের লিভার কোলেস্টেরল তৈরি করে। শরীরের যাবতীয় কোষ, ভিটামিন-ডি তৈরি, হরমোনাল অনেক কিছুর সাথে এই কোলেস্টেরল সম্পর্কিত। কিন্তু রক্তে যখন নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল/লিপিড বা ফ্যাট এর উপস্থিতি পাওয়া যায় তখন বলা হয় হাইপারলিপিডেমিয়া। ২০১১-২০১২ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষের মধ্যে। ৬৩ হাজার ৭০৮ জনের মধ্যে অতি ঝুঁকিতে ছিল পুরুষ ৬০ শতাংশ, মহিলা ৪০ শতাংশ। অল্প ঝুঁকিতে ছিল পুরুষ ৪৪ শতাংশ, মহিলা ৫৬ শতাংশ। কারণ: হাইপারলিপিডেমিয়ার সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। তবে জেনেটিক, বংশগত বা পারিবারিক কারণে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু রোগের কারণে যেমন- হাইপোথাইরয়েডিজম, কুশিং সিনড্রম, লিভার ও কিডনির বেশ কিছু রোগ, ডায়াবেটিস, বেশি ক্যালরিযুক্ত খাদ্য, চর্বিদার খাদ্য, লাল মাংস, (গরু, খাসি, হরিণ, ভেড়া, মহিষ) মদ, সফটড্রিংকস, শর্করাজাতীয় খাদ্য, ভাত, আলু, ইত্যাদি বেশি খাওয়া হলে রক্তে লিপিডের পরি...

স্বেচ্ছায় রক্তদান সর্বোৎকৃষ্ট সেবা

Image
নিজের জীবনের একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করি মেডিকেলে কলেজে যখন আমি এমবিবিএস ১ম বর্ষের ছাত্র, তখন আমার এক ব্যাচমেটের বাবার লিভার সিরোসিসে মুমূর্ষু অবস্থা আর আংকেলের জন্য আমার ব্যাচমেটরা রক্ত খুঁজতে খুঁজতে পাগলপ্রায়। আমার রক্তের গ্রুপের সাথে আংকেলের রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় তখন সবাই আমাকে রক্ত দিতে বলে কিন্তু আগে কখনো রক্ত না দেওয়ায় সাহস করে উঠতে পারিনি। পরে অবশ্য রক্ত যোগাড় হয়েছিল কিন্তু কিছুদিন পরেই আংকেল আমাদের ছেড়ে চলে যান। এই ঘটনার পর আমি কয়েক রাত ঘুমাতে পারিনি এই কথা ভেবে, এরপর থেকেই আমার রক্ত দেওয়া শুরু। এখন তো প্রতি তিন মাস পর পর রক্ত না দিলে নিজের কাছেই খারাপ লাগা শুরু করে কিন্তু এখনো নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি ওই ঘটনার জন্য। এমনিভাবে যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদের সহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করতে প্রতিবছরের মত এবারো ১৪ই জুন সারাদেশে পালন হয়েছে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।  ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার...